কিভাবে আপনি খুব সহজেই কোম্পানির নিবন্ধন করবেন?
- January 22, 2016
- Posted by: HR Raju
- Category: কোম্পানি নিবন্ধন
কোম্পানি নিবন্ধন করা কোম্পানি তৈরি করার একটি প্রথম এবং গুরুত্তপুর্ন কাজ। অনেকেই বুঝে উঠতে পারেনা কিভাবে কোম্পানির নিবন্ধন করা যায়।
কোম্পানি নিবন্ধন করতে গেলে যে বিষয়গুলো বা যে রেজিস্ট্রেশনের পুর্বে আপনার যে কাগজ/ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে সে বিষয়ে ফাস্ট কনসালটেন্সি আপনাকে উল্লেখ করবে।
কোম্পানির নামঃ কোম্পানি গঠনের আগে আপনাকে অবশ্যই কোম্পানির নামের অনুমোদন নিতে হবে। কোম্পানির নাম আগে থেকেই নির্ধারণ করে নামের ছারপত্র নিয়ে রাখতে হবে।
পরিচালকঃ কোম্পানি গঠনের জন্য অন্তত ২ জন পরিচালক রাখা বাধ্যতামূলক। পরিচালক দেশীয় ব্যক্তি কিংবা বিদেশী ব্যক্তি হতে পারে।
এতে কোন সমস্যা নেই। পরিচালক বা প্রধান নুন্যতম ১৮ বছর বয়স হতে হবে। এবং অবশ্যই এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে।
বিদেশি পরিচালকের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট এবং নিজের দেশের পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হবে।
শেয়ার হোল্ডারঃ বাংলাদেশে প্রাইভেট কোম্পানির জন্য নুন্যতম ২ জন এবং সর্বোচ্চ ৫০ জন শেয়ার হোল্ডার থাকতে পারে। পরিচালক ও শেয়ার হোল্ডার একই ব্যক্তি হতে পারে কিংবা ভিন্ন ব্যক্তিও হতে পারে; এতে কোন সমস্যা নেই
শেয়ার হোল্ডার কোন ব্যক্তি বা কোন কোম্পানিও হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে 100% স্থানীয় বা বিদেশী শেয়ারহোল্ডিং অনুমোদিত আছে।
অনুমোদিত মূলধনঃ আপনার কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন কত হবে তা অবশ্যই মেমোরান্ডাম অব এসোসিয়েশন ও আর্টিকেল অব এসোসিয়েশনে উল্লেখ করা থাকতে হবে।
এটি মূলত আপনার কোম্পানিতে আপনি কত শেয়ার বা মূলধন বিনিয়োগ করতে পারবেন তার নির্ধারিত একটি অনুমোদন। আপনি যত পরিমান অনুমোদিত শেয়ার বা মূলধন মেমোরান্ডাম অব এসোসিয়েশন ও আর্টিকেল অব এসোসিয়েশনে উল্লেখ করবেন তত পরিমাণই আপনি মূলধন জোগান দিতে পারবেন। তার বেশি মূলধন আপনি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে পারবেন না।
উদাহরণঃ আপনি অনুমোদিত মূলধনের পরিমান দেয়া ছিল ৫ কোটি টাকা। তার মানে হল, আপনার কোম্পানিতে আপনি ৫ কোটি টাকার বেশি মূলধন সংগ্রহ করতে পারবেন না বা বিনিয়োগ করতে পারবেন না।
পরিশোধিত মূলধনঃ বাংলাদেশে কোম্পানি গঠনের জন্য নুন্যতম ১০০০০ টাকা পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। পরিশোধিত মূলধন কোম্পানি গঠনের পরে যে কোন সময় বৃদ্ধি পেতে পারে।
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ কোম্পানি নিবন্ধনের পূর্বে আপনাকে অবশ্যই কোম্পানির নামে নির্দিষ্ট ঠিকানা নিবন্ধন করে নিতে হবে।
মেমোরান্ডাম এন্ড আর্টিকেল অব এসোসিয়েশনঃ কোম্পানি গঠনের পূর্বে অবশ্যই আপনাকে মেমোরান্ডাম এন্ড আর্টিকেল অব এসোসিয়েশন তৈরি করে নিতে হবে।
** memorandum of association (MoA) and articles of association (AoA)”
মেমোরান্ডাম এন্ড আর্টিকেল অব এসোসিয়েশন মূলত কোম্পানির গঠনতন্ত্র ও কার্যক্রম নিয়ে লিখিত। আপনি নিজে না পারলে অভিজ্ঞ কোন কনসালটেন্সি ফার্ম কিংবা কোন আইনজীবী থেকে এই বিষয়ে সহায়তা গ্রহণ করতে পারেন।
ফাস্ট কনসালটেন্সি এর অভিজ্ঞ টিমের মাধ্যমে করুন আপনার কোম্পানির নিবন্ধন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.