ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিকনির্দেশনাঃ
দিন যত গড়াচ্ছে, ততই ব্যবসায়ীদের অনিশ্চয়তা বাড়ছে। সাথে বাড়ছে ব্যবসাকে এগিয়ে নেয়ার দুশ্চিন্তাও। নিজের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে সাবলীলভাবে এগিয়ে নিতে যথাযথ বিজনেস স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা তো প্রত্যেকেরই কর্তব্য।
কম্পিটিশনে টিকে থাকতে প্রতিটা ব্যবসাকেই ঝুঁকি নেয়ার সাথেসাথে প্রতিকূল অবস্থায় ওঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতাও থাকতে হয়। এসবের সাথে সঠিক সময়ে সঠিক কাজ সম্পাদন ও সিদ্ধান্ত নেয়া এবং বিজনেস স্ট্র্যাটেজি ও মার্কেটিং-এর দিকে আরো বেশি ফোকাসড হওয়াটাও খুব বেশি জরুরী।
কারণ একটি প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা নির্ভর করে সেই প্রতিষ্ঠানের যথাযথ বিজনেস প্ল্যানের উপরেই। আর কে না জানে, যথাযথ বিজনেস প্ল্যান ও স্ট্র্যাটেজিই হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার বলিষ্ঠ ব্লু-প্রিন্ট।
এই ছোট্ট লেখাটিতে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেয়ার কিছু দিকনির্দেশনা নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। চলুন, শুরু করা যাক–
বেরিয়ে আসুন কম্ফোর্ট জোন থেকেঃ
একটা পর্যায় পর্যন্ত ব্যবসা পরিচালনা করতে আপনাকে হয়ত অনেক পরিশ্রম করে যেতে হয়েছে। কিন্তু সেই পর্যায় পেরুনোর পর যখন আপনি দেখলেন আপনার ব্যবসা বেশ সফল অবস্থানে চলে এসেছে।
তখন আপনার মাঝে একটা স্যাটিসফ্যাকশন চলে আসে এমন যে, “আর বোধহয় আমাকে পরিশ্রম না করলেও চলবে, ব্যবসা যেমন চলছে তেমনই চলতে থাকুক!” এই কম্ফোর্ট জোনে চলে যাওয়াটাই আপনার ব্যবসাকে ক্ষতির মাঝে ফেলবে। ব্যবসার প্রতিটা সফলতাকে আপনি ব্যবসার পরের স্টেজে উত্তরণের সংকেত হিসেবে গ্রহণ করলেই দেখবেন আপনি কম্পিটিশনে টিকে থাকতে পারছেন।
খোঁজ রাখুন আপনার কম্পিটিটরদের ব্যাপারেঃ
আপনি কম্পিটিশনে নেমেছেন, কিন্তু প্রতিপক্ষের শক্তি ও ক্ষমতার ব্যাপারে আপনি কিছুই জানেন না। এমনটি হলে দিনশেষে আপনি কম্পিটিশন হতে ছিটকে পড়বেন।
তাই আপনার প্রতিপক্ষ কোন কোন আইডিয়া নিয়ে এগোচ্ছে, তারা কোন কোন সমস্যার কারণে আটকে যাচ্ছে, এসব ব্যাপারে আপডেটেড থাকুন। তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করুন, সমাধান বের করুন, আর নিজের বিজনেস প্ল্যানে সেসব ইমপ্লিমেন্ট করুন।.
নজর বুলান প্রতিষ্ঠানের খুঁটিনাটি অংশেঃ
আপনার প্রতিষ্ঠানে যদি আপনার অধিনস্ত অনেক কর্মচারী থেকে থাকে, তবে সপ্তাহে একবার তাদের কাজের আপডেট নিন। তাদের উপর ন্যস্ত ডিপার্টমেন্টের আগাগোড়া যাচাই করুন।
এতে করে তাদের কার্যক্রম কিংবা কোনো চলমান সমস্যার ব্যাপারে (যা আপনাকে তারা সরাসরি জানায়নি) আপনি একটি স্পষ্ট ধারণা পাবেন। এবং পরবর্তীতে সে অনুপাতে আপনি নিজের প্রতিষ্ঠানের প্ল্যান সাজাতে পারবেন।
নিয়মিত কথা বলুন প্রতিষ্ঠানের সেরাদের সাথেঃ
প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে গিয়ে আপনি অবশ্যই আপনার সেরাদের চিহ্নিত করতে পেরেছেন, যাদের দারুণ পারফরম্যান্সের কারণে আপনার প্রতিষ্ঠান বেশ এগিয়ে গিয়েছে। তাদেরকে নিয়ে মাঝেমাঝেই ইনফরমাল আড্ডার ব্যবস্থা করুন। লক্ষ্য করুন, কোনো গুরুগম্ভীর মিটিং নয়, বরং ইনফরমাল আড্ডার কথাই বলছি।
তাদের সাথে অনেকটা খোলামেলাভাবে প্রতিষ্ঠান নিয়ে আলোচনা করুন, আইডিয়া নিন, পরামর্শ নিন। এর ফলে প্রতিষ্ঠানকে তারা নিজেদের মনে করে আন্তরিকভাবেই পরামর্শ দিয়ে যাবে। এবং এতে করে প্রতিষ্ঠানও বেশ সহজভাবেই অনেক সম্ভাব্য বাধা পেরোতে সক্ষম হবে।
কাস্টমারকে গুরুত্ব দিনঃ
আপনার কাস্টমারই কিন্তু আপনার প্রতিষ্ঠানের সেবা সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা রাখে। যেমন, আপনার প্রতিষ্ঠানটি যদি হয় ডেলিভারি সার্ভিসের, তাহলে এক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে কাস্টমারদের কাছ থেকেই এর সার্ভিস সম্পর্কে একটা ফিডব্যাক নেয়া। আপনার অধিনস্ত কর্মচারীরা নিজেদের যত সাফাই গেয়ে যাক, কিন্তু সার্ভিস সম্পর্কে প্রকৃত সত্য কিন্তু আপনি পাবেন কাস্টমারের কাছ থেকে।
তাই তাদের ফোন করুন কিংবা ফেসবুকে নক দিন, অথবা মেইল করুন। কাস্টমার যখন বুঝবে যে স্বয়ং প্রতিষ্ঠানের মালিক তাদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানের ফিডব্যাক নিচ্ছে, তখন তারা অবশ্যই আন্তরিকভাবে সবরকম সহযোগিতাই করে যাবে। কাস্টমারকে গুরুত্ব দিন, সেও আপনাকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
আপনার ব্যবসাকে আরো গতিশীল করে যেতে পারবেন, যদি ব্যবসাটি বৈধ হয়। আপনার ব্যবসাকে বৈধতা প্রদানের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নিন আমাদের থেকে সহজেই। এছাড়া সহজে ট্রেড লাইসেন্স, বাৎসরিক রিটার্ন, শেয়ার হস্তান্তর,ভ্যাট, আমদানি-রপ্তানী, ই- টিন এবং কোম্পানি নিবন্ধন করুন ফাস্ট কনসালটেন্সি অনলাইন ফার্মে।
সহজে এবং কম খরচে, দ্রুত এবং বিশ্বস্ত সেবা গ্রহন করুন।
বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করার উপায়ঃ
মোবাইল / হোয়াটস এপ / ভাইভারঃ
01855-88882