শেয়ার হস্তান্তর করার নিয়ম; সহজ কিছু প্রসেসেই করে ফেলুন।

শেয়ার হস্তান্তর করার নিয়মঃ

ব্যবসা করার ক্ষেত্রে শেয়ার হস্তান্তর খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। আমাদের শেয়ার হাত-বদল কিংবা হস্তান্তর সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু ধারনা রাখলেও পুরোপুরি সঠিক ধারনা না থাকার ফলে আমাদেরকে বিভিন্ন আইনী জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়।

আজ আমরা ধাপে ধাপে জেনে নিবো শেয়ার হাত-বদলের বিস্তারিত তথ্য যা আমাদেরকে স্বচ্ছতার সাথে শেয়ার আদান-প্রদান করতে সাহায্য করবে এবং সকল প্রকার আইনী জটিলতা থেকে ব্যবসাকে সুরক্ষিত রাখবে।

বোর্ড মিটিং,এজেন্ডা ও মিনিটসঃ

এক্ষেত্রে প্রথমেই,
নোটিশের প্রদানের মাধ্যমে একটি বোর্ড মিটিং এর আয়োজন করতে হবে যেখানে কোম্পানির সকল বর্তমান শেয়ার হোল্ডাররা উপস্থিত থাকবেন।
সেই বোর্ড মিটিং এ নতুন শেয়ার হোল্ডার কিভাবে গ্রহণ করা হবে সে সকল ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে সেই সকল ব্যাপার একটি নির্দিষ্ট এজেন্ডার মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হবে।

এরকম বোর্ড মিটিং এর মাধ্যমে যে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলো, সকল বর্তমান শেয়ার হোল্ডার এর সম্মতি ও সাক্ষর নিয়ে একটি মিনিটসের মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে।

 ব্যাংকে শেয়ার এর টাকা জমা ও কাগজ সংগ্রহঃ

এরপর,
নব্য আগত শেয়ার হোল্ডার যে পরিমাণ টাকার শেয়ার কিনতে চায় সেই পরিমাণ টাকা একটি ব্যাংক একাউন্ট এ জমা দিতে হবে। পরে সেই ব্যাংক স্ট্যেটমেন্ট এর কপি, বোর্ড মিটিং এর কাগজ সংগ্রহ করতে হবে।

 EGM:

তারপর,
Extra Ordinary General Meeting অর্থাৎ EGM এর আয়োজন করতে হবে যেখানে কোম্পানির মেমোরেন্ডামে নতুন শেয়ার হোল্ডার এর কোম্পানির সাথে যুক্ত হবার ব্যাপারটি স্পষ্ট করা থাকবে। এই সকল নতুন পরিবর্তন একটি এজেন্ডার মাধ্যমে উপস্থাপন করতে হবে। যা পরবর্তীতে Minuets এর মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে।

 No Objection Certificate:

এখন,
বর্তমান শেয়ার হোল্ডার এর পক্ষ থেকে একটু অনাপত্তিপত্র দিতে হবে যেখানে নতুগ আগত শেয়ার হোল্ডার থাকায় কোনো প্রকার আপত্তি নেই এই মর্মে একটি পত্র তৈরী করতে হবে। এটিকে No Objection Certificate বলা হয় যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা সংগ্রহে রাখতে হবে।

 Form IX:

ফর্ম নাইন সংগ্রহ করতে হবে। যেখানে নতুন আগত শেয়ার হোল্ডার এর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি,পাসপোর্ট সাইজের ছবি,টিন সার্টিফিকেট ও যাবতীয় সকল ব্যক্তিগত তথ্য সেই ফর্ম নাইনে উল্লেখ করতে হবে।

 Form XII:

এরপর আসবে ফর্ম টুয়েলভ। সকল কাগজ সংগ্রহ করে ফর্ম টুয়েলভ তৈরী করতে হবে। সেখানে উল্লেখ থাকবে যে নতুন শেয়ার হোল্ডার যুক্ত হবার কারা কারা বর্তমান শেয়ার হোল্ডার রয়েছে এবং কে কোন পদে বহাল রয়েছে।

 From XV:

প্রয়োজন আছে ফর্ম ফিফটিন এর। সেখানে উল্লেখ থাকবে যে কে কতো টাকার এবং কার কতটুকু শেয়ার রয়েছে।
পরবর্তী আরেকটি ধাপ রয়েছে,

 Joint Stock Submission:

এই ধাপে সকল কাগজ-পত্র তৈরী করে Joint Stock এর ওয়েব সাইটে Entity তে প্রবেশ করে সকল কাগজ-পত্রের তথ্য দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করে সাবমিট করতে হবে।
সব কাগজ-পত্র ও তথ্য সাবমিট করার পরে একটি মানি রিসিট পাওয়া যাবে। সেখানে উল্লেখিত ফি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দিতে হবে।

 Final Paper Submission:

সকল প্রকার কাগজপত্র অর্থাৎ EGM,Board Meeting, Form IX, Form XII, Form XV এবং ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার মানি রিসিট সহ সমস্ত কাগজ সংগ্রহ করে Joint Stock এর অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে। এরপরে সেখান থেকে একটি রিসিট কপি দেয়া হবে যা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই করে নতুন আগত শেয়ার হোল্ডারকে বৈধতা দিয়ে একটি সার্টিফিকেট ইস্যু করবে।
উক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করেই নতুন শেয়ার হোল্ডার যুক্ত করা যাবে কিংবা শেয়ার হস্তান্তর করা যাবে।

শেয়ার হস্তান্তর বিষয়ে চাইলে আমাদের সহযোগিতা নিতে পারেন।

বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করার উপায়ঃ

? মোবাইল / হোয়াটস এপ / ভাইভারঃ
01855-888829
ইমেইলঃ Consultancyfast@gmail.com

ওয়েবসাইটঃ fastgovt.com

 আমাদের অফিসের ঠিকানা,
ভাওয়াল কনভেনশন সেন্টার, শপ নং ০৮, তৃতীয় তলা, ঢাকা রোড,

চৌরাস্তা সদর গাজীপুর – ১৭০৪।

? গুগোল ম্যাপে আমাদের ঠিকানাঃ


Leave a Reply