ফাউন্ডেশন করার নিয়ম; সহজ কয়েকটি ধাপে

ফাউন্ডেশন করার নিয়মঃ

আপনিও কি চান, আপনার তৈরি করা একটি ফাউন্ডেশন হোক, এক টাকায় আহার, বিদ্যানন্দ, রিজিক ফাউন্ডেশনের মত ?
 একটি ফাউন্ডেশন বা সোসাইটি কিংবা ট্রাস্ট তৈরি করা কি বেশ সময়সাপেক্ষ এবং কঠিন ? মোটেও না এটা একদম ই সহজ, যদি নিয়ম মত এটাকে পরিচালনা করা যায়।
অনেকে সোসাইটি অথবা ফাউন্ডেশন তৈরি করতে চান, মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকতে চাইলে সেটা ব্যেক্তি পর্যায়েই রয়ে যায়। সেটাকে যদি জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায় তবে কিন্তু আর্তমানবতার সেবা পৌঁছে দেয়া যাবে দেশের যে কোন জায়গায়।

যেকোনো সংস্থাগুলো পরিচালনা করতে হলে অবশ্যই বৈধ ভাবে করা উচিত। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে ফাউন্ডেশন পরিচালনা করতে চাইলে সেই রাষ্ট্রের বিধিনিষেধ ও নীতিমালা অনুযায়ী সেটাকে পরিচালিত করা উচিত।

একটি ফাউন্ডেশনকে কিভাবে রাষ্ট্রীয় ভাবে বৈধতা দেয়া যায় এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম নিয়ে আপনাদের সাথে থাকছে Fast Consultancy।

 ফাউন্ডেশন এর সদস্য ও তাদের প্রয়োজনীয় তথ্যাদিঃ

  • ১. একটি ফাউন্ডেশনে অন্তত ৭ জন সদস্য থাকতে হবে।
  • ২. সকল সদস্যেকে অবশ্যই প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হতে হবে।
  • ৩. প্রতিটি সদস্যের NID কিংবা জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকতে হবে।
  • ৪. সকলে পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
 উপরোক্ত সকল তথ্য সঠিক ভাবে থাকলে প্রথমেই ফাউন্ডেশনের নামের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করতে হবে…
নামটি হতে হবে যেকোনো সংগঠন থেকে আলাদা কারণ একটি সংগঠনের ব্যবহৃত নাম দ্বিতীয় অন্য কোনো সংগঠন ব্যবহার করতে পারবে না।
আর এই বাছাইকৃত নাম অন্যকোনো সংগঠন ব্যবহার করছে কি না তা এই ওয়েবসাইট থেকে যাচাই করতে হবেঃ
  •  বাছাইকৃত নামটি খালি থাকা সাপেক্ষ নামের ছাড় পত্রে জন্য আবেদন করতে হবে।
  • বাছাইকৃত নামটি রেজিস্ট্রেশনের জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে দুই দিনের মধ্যে আপনার নামের ছাড়পত্র পাওয়া যাবে।
  • এরপর দেশের আইন এবং সংবিধান এর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র প্রস্তুত করতে হবে।
গঠনতন্ত্রে হলো একটি ফাউন্ডেশন কিভাবে পরিচালিত হবে, সেখানে নির্বাচন হবে কিভাবে, কে কোন পদে থাকবে, কিভাবে সদস্য যোগ করা হবে, কিভাবে সদস্য বিলুপ্ত করা ইত্যাদিসহ সকল বিষয় যেখানে উল্লেখ থাকবে।এই গঠনতন্ত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় যার ফলে কোনো দক্ষ আইনজীবির সহায়তার এটা সম্পন্ন করা উচিত।
  •  গঠনতন্ত্র প্রস্তুত করার পর প্রয়োজনীয় রেজিস্ট্রেশন ফি ব্যাংকে প্রদান করতে হবে।
  • এই ধাপে নামের ছাড়পত্রের কাগজ, ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র, রেজিস্ট্রি ফি, সদস্যদের পরিচয়পত্র সহ অন্যান্ন সকল কাগজপত্র একত্র করে Joint Stock এ জমা দিতে হবে
 Joint Stock এ রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদনের পর ফাউন্ডেশন এর প্রকৃত উদ্দেশ্য এবং সদস্যদের ব্যক্তিগত তথ্য যাচাইয়ের জন্য NSI তদন্ত করবে এবং NSI এর রিপোর্ট ইতিবাচক হলে Joint Stock থেকে রেজিস্ট্রেশন লাইসেন্স প্রদান করা হবে।

অত:পর, সরকারিভাবে ফাউন্ডেশন এর লাইসেন্স পাওয়ার পর বৈধ ভাবে এই দেশে ফাউন্ডেশন এর কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে।

এছাড়া ফাস্ট কনসালটেন্সি দির্ঘদিন ধরে ফাউন্ডেশন, ট্রাস্ট, কিংবা সোসাইটির মত প্রতিষ্ঠান তৈরিতে সহযোগিতা করে আসছে। আপনিও চাইলে ঘরে বসেই কাজটি করে ফেলতে পারেন খুব সহজে।
বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করার উপায়ঃ
? মোবাইল / হোয়াটস এপ / ভাইভারঃ
01855-888829
ইমেইলঃ Consultancyfast@gmail.com
ওয়েবসাইটঃ fastgovt.com

 আমাদের অফিসের ঠিকানা,
ভাওয়াল কনভেনশন সেন্টার, শপ নং ০৮, তৃতীয় তলা, ঢাকা রোড,
চৌরাস্তা সদর গাজীপুর – ১৭০৪।

? গুগোল ম্যাপে আমাদের ঠিকানাঃ


Leave a Reply