পার্টনারশীপ ব্যবসা যেভাবে পরিচালনা করা উচিত।

পার্টনারশীপ ব্যবসা যেভাবে পরিচালনা করা উচিত।

পার্টনারশিপ ব্যবসার শুরুতে এটা নিশ্চিত হওয়া জরুরী যে সকল অংশীদারের (পার্টনার) ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা আছে কিনা?
পাশাপাশি আর্থিক স্বচ্ছলতা কেমন?

ব্যবসায় সফলতা পেতে চাইলে থাকতে হবে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। একে অপরকে বুঝতে হবে, বিশ্বাস করতে হবে এবং সিদ্ধান্তের প্রতি থাকতে হবে শ্রদ্ধাবোধ, একটা চেইন অফ কমান্ডে থাকতে হবে সবার।
অংশীদারি ব্যবসায় ব্যর্থতার সংখ্যা বেশী, প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ। এর মূল কারণ বোঝাপড়া। ব্যবসার সময় খারাপ যেতে থাকলেই অংশীদারিত্বে ফাটল ধরে। সব ব্যবসাতেই ভাল খারাপ সময় আছে, সে সময় উত্তরন করতে পারে না বেশিরভাগ পার্টনারশিপ কোম্পানি।
নতুন ব্যবসা শুরু, পরিচালনা এবং ব্যবস্থাপনার সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা তৈরি করে রাখা প্রয়োজন ব্যবসার শুরুতেই।

 অংশীদারি ব্যবসা মুলত দুই রকমঃ

১. সাধারণ
২. লিমিটেড (কোম্পানি)।
এই দুই ক্ষেত্রেই যে বিষয় গুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখা প্রয়োজনঃ
  • ১. কেমন অংশীদার চান, কাজ পরিচালনাকারী অংশীদার না ফাইনান্সিয়াল বা বিনিয়োগকারী অংশিদার, আগে নিশ্চিত হয়ে নিন।
  • ২. অংশীদারের কাছ থেকে আপনি কেমন সাপোর্ট আশা করেন সেটাও নির্ধারণ করে নিতে হবে।
  • ৩. অংশীদার কতটা আগ্রহি আপনার সাথে ব্যবসা করতে সেটা বুঝে নিন ভালভাবে।
  • ৪. জেনে নিন ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কোন সমস্যায় ভুগছে কিনা আপনার অংশীদার?
  • ৫. অংশীদারের অতিত সময়ের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখে নিন সে ব্যেক্তি হিসেবে স্বচ্ছ কিনা।
  • ৬. ব্যবসায়িক সবকিছুর লিখিত দলিলে তার আপত্তি আছে কিনা জেনে নিন ?
বেশীরভাগ মানুষই অংশীদারি ব্যবসায় যায় আর্থিক সহায়তার আশায়। সহায়তার আশ্বাস পেলে তারা অনেক কিছুই মৌখিকভাবে পরিকল্পনা করে, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তা বাস্তবে আর রুপ নেয় না।
কোন সফল ব্যবসায়িকে ফলো করে তার ব্যবসা করলেই যে আপনি সফল হবেন সেটা কিন্তু নয়।
কারন একজন অভিজ্ঞ একটা ব্যবসা শুরু করার পর আরো ৩ জন থেকে বিনিয়োগ নিলেন। অপর তিন জনের যদি শুধু মুনাফা অর্জন করাই মেইন উদ্দেশ্য হয় তবে অভিজ্ঞ লোকের ব্যবসা পরিচালনা করতে অনেক বেশি চাপ নিতে হয়। যার দরুন ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এছাড়া আপনার পার্টনার যদি বিনিয়োগের মাধ্যমে পার্টনার হয় তবে তার বিনিয়োগের সোর্স সম্পর্কে ক্লিয়ার ভাবে জেনে নিন, যদি সে ধার করে, বা ঋণ করে টাকা আনে তবে তার কিন্তু তারাহুরা থেকে যাবে শোধ করার জন্য। আর ব্যবসায়ে যে মুনাফা দ্রুতই আসবে এটা নিশ্চিত নয়।

পার্টনার ব্যবসায় যে বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে মেনে চলা উচিতঃ

  • ১. একে অপরের প্রতি দেখাতে হবে পূর্ণ বিশ্বাস, আস্থা এবং শ্রদ্ধাবোধ।
  • ২. পরস্পরকে বুঝতে হবে। ধৈর্য্য এবং আস্থা রাখতে হবে অংশীদারের নেয়া ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তের ওপর।
  • ৩. নিয়মিত ব্যবসায়িক বৈঠক পরিচালনা করতে হবে।
  • ৪. সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
  • ৫. ব্যবসায়ের স্বচ্ছতা থাকতে হবে সবক্ষেত্রে।
আমরা ফাস্ট কনসালটেন্সি অনলাইন ফার্ম, পার্টনার ব্যবসা শুরু করার জন্য কোম্পানি নিবন্ধন থেকে শুরু করে ট্রেডমার্ক, ট্রেডলাইসেন্স, ওয়েবসাইট ছাড়াও সকল ধরনের ব্যবসায়িক লাইসেন্স, ইম্পোর্ট-এক্সপোর্ট লাইসেন্স পেতে সহযোগিতা করে থাকি।
চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেনঃ
কল করুন এই নাম্বারেঃ 01855 88 88 29
আমাদের ওয়েবসাইটঃ fastgovt.com


Leave a Reply